উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের লসসমূহ হচ্ছেঃ
১. কোর লস: কোর লসের পরিমান ট্রান্সফরমারের যেকোন লোডে একই থাকে। তবে প্রাইমারিতে আরোপিত ভোল্টেজের হ্রাস-বৃদ্ধির উপর এ লস যথাক্রমে কম ও বেশী হয়। কোর লস দুই প্রকার। যেমন,
ক. এডি কারেন্ট লস।
খ. হিসটেরিসিস লস।
ক. এডি কারেন্ট লস: এডি কারেন্ট কোরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় কোর Resistance কর্তৃক বাধাগ্রস্থ হয়ে যে পাওয়ার লস হয় তাকে এডি কারেন্ট লস বলে।
খ. হিসটেরিসিস লস: AC Current প্রতি অর্ধ সাইকেল অন্তর অন্তর দিক পরিবর্তন করার ফলে কোরে চুম্বক ক্ষেত্রের মেরুর দিক পরিবর্তন হয়। এই পর্যায়ক্রমিক চুম্বকীকরণ ও বিচুম্বকীকরণের কারনে যে পাওয়ার ব্যয়িত হয় তাকে হিসটেরিসিস লস।
২. কপার লস: ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এর যে ওহমিক Resistance থাকে তার জন্য যে লস হয় তাকে কপার লস বলে। কপার লস সাধারণত লোডের উপর নির্ভর করে। লোড বাড়ার সাথে সাথে কপার লসও বাড়তে থাকে। কপার লস দুই প্রকার। যেমন,
ক. প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং কপার লস।
খ. সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং কপার লস।
ক. প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং কপার লস: ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং এর ওহমিক Resistance এর জন্য যে লস হয় তাকে প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং কপার লস।
খ. সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং কপার লস: ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং এর ওহমিক Resistance এর জন্য যে লস হয় তাকে সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিং কপার লস।
ট্রান্সফরমারের প্রাইমারিতে DC সরবরাহ করলে প্রাইমারিতে Steady Current প্রবাহিত হয় এবং Constant Flux উৎপন্ন হয়। যার ফলে কোন Back EMF উৎপন্ন হয় না এবং Low Resistance এর কারনে প্রাইমারিতে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হবে। যার দরুণ প্রাইমারি ওয়াইন্ডিং Overheated হয়ে পুড়ে যেতে পারে।